Tuesday, April 3, 2018

বাঘের বাচ্চা


"বনে শিকার করতে গিয়ে এক শিকারী বনে একাকী পড়ে থাকা একটি ছোট বাঘের বাচ্চা পেলেন।
তারপর তিনি ঐ বাঘের বাচ্চাটিকে বাড়িতে এনে ভেড়ার পালের সাথে রাখলেন।
বাঘের বাচ্চাটি নিজের পরিচয় ভূলে গিয়ে নিজেকেও ভেড়ার বাচ্চা মনে করে ঐ পালেই বড় হতে লাগলো।
একদিন এক ক্ষুধার্ত বাঘ ঐ ভেড়ার পালে আক্রোমণ করতে গিয়ে দেখলো বাংলালিংকের মত ডোরা কাটা একটি
বাঘের বাচ্চাও ওদের সাথে ভয়ে দৌড়াচ্ছে।
তখন বাঘটি ক্ষুধা ভূলে গিয়ে ঐ পাল থেকে দাতে করে ঐ বাঘের বাচ্চাটিকে ধরে এনে বললোঃ
"এই তুই তো আমার জাত ভাই বাঘের বাচ্চা, তুই ভেড়ার পালে কেন?"
ঐতিহ্য ভূলে যাওয়া ঐ বাঘের বাচ্চাটি বললোঃ "না আমি বাঘের বাচ্চা নই, আমি ভেড়ার বাচ্চা ভেড়া।"
আবারো বাঘটি বললো তুই বাঘের বাচ্চা।
বাচ্চাটি পূণরায় বললোঃ
"আমি ভেড়ার বাচ্চা ভ্যাঁ ভ্যাঁ।"
তারপর বাচ্চাটিকে বাঘ একটি পানিভর্তি কুয়ার কাছে নিয়ে গিয়ে বললোঃ
'এবার কুয়ায় পানির মাঝে তাকিয়ে নিজের ছবি দেখতো তোর
চামড়া, হাতের নখ, মুখের আকৃতি সব কিছু আমার মত কিনা?'
বাচ্চাটি কুয়ার পানিতে নিজের ছবি দেখে বললোঃ "হাঁ তাইতো আমি তো আসলেই বাঘের বাচ্চা।"
এবার বাঘটি বললোঃ 'তুই বাঘের বাচ্চা হয়ে ভেড়ার পালের সাথে থেকে ভেড়াদের ঘুতা খাবি কেন?
তুই বাঘের বাচ্ছা বাঘ তুই গর্জন ছাড়বি ভেড়ারা পালানোর রাস্তা খুজে পাবেনা।'. . . . . . . .
যুবকেরা, তরুণেরা তোমরা ভেড়ার বাচ্চা নও।
তোমরা আল্লাহর সিংহ খ্যাত আলীর সন্তান, তোমরা শাহ জালালের সন্তান, খালিদ বিন ওয়ালিদের সন্তান।
ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে এসো তাহলে আবারো তোমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
তোমরা হুংকার ছাড়বে বাতিলরা
পালানোর রাস্তা খুজে পাবেনা।"" . . . . . .

Monday, April 2, 2018

জাতীয় খেলা কাবাডি কেন, জাতীয় খেলা"??"


এক বিদেশি লোক আমাদের দেশের এক স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করে....
"ভাই পৃথিবীতে এত খেলা থাকতে কাবাডি কেন তোমাদের "জাতীয় খেলা"??"

ছাত্রটি বলে:- "
কাবাডি খেলার একটি নিয়ম হচ্ছে কেউ যখন তার লক্ষ্যে পৌছাতে চায় বাকিরা সবাই তাকে টেনে হিচড়ে পিছনের দিকে টানে. যাতে সে ব্যর্থ হয়...!!
"আর আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের স্বভাব সেটাই...!!!"
"তাই কাবাডি আমাদের "জাতীয় খেলা".
collected

স্মৃতির পাতায়




স্মৃতির পাতায়
----------------------------
ধবধবে সাদা স্কুল ড্রেসের কলেজিয়েটের ছেলেটা আর গাঢ় নীল স্কুল ড্রেস পরা খাস্তগীরের মেয়েটা একদিন জামালখানের রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক করেছিলো একদিন তাঁদের খুব সুন্দর একটা বাড়ি হবে.... বাড়ির সামনে একটা ঘাসের লন। বারান্দায় ঝুলন্ত টবে সারি সারি অর্কিড.... গভীর রাতে তাঁরা চা'র কাপ হাতে বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখবে... ছেলেটা পড়বে আবুল হাসান বা শামসুর রাহমান।
স্বপ্নটা স্বপ্নের জায়গায় আছে.... পরিপাটি আছে জামালখানও। মাঝখানে নতুন বাতিঘর যুক্ত হয়েছে... রাস্তা পরিপাটি হয়েছে, পানির ফোয়ারা হয়েছে... আলোর ঝলকানি বেড়েছে... এই যা। শুধু ছেলেটা আর মেয়েটা নেই। মেয়েটা গভীর রাতে কোন এক মেডিক্যাল হোস্টেলের বারান্দার গ্রীলে মাথা ঠুকে প্রফের প্রিপারেশন নিচ্ছে.... আর ছেলেটা টিউশনি শেষে একহাত থেকে অন্য হাতে সিগারেট বদলাচ্ছে। এমনকি কারো মোবাইল নাম্বারটা পর্যন্ত নেই কারো ফোনে।
সবকিছু খুব দ্রুত বদলে যায়.... একসময় আমি পকেটের শেষ তিন টাকা দিয়ে নেভী সিগারেট ধরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে জিইসি থেকে বাসায় ফিরেছি। বেনসন বা গোল্ডলীফ ধরার মতো অবস্থা ছিলো না... আমার খুব ইচ্ছে করতো কারো পাশে বসে খুব দামী কোন রেস্টুরেন্টে একদিন লাঞ্চ করি.... আমি মানিব্যাগের হীনস্বাস্থ্যের কারণে পারি নি কখনো। এখন সামর্থ্য হয়েছে... কিন্তু সুযোগ আর নেই।
স্বপ্নগুলোর একটা এক্সপায়ারেশন ডেট থাকে.... গতকালকের স্বপ্নটা গতকাল পূরণ না হলে আজকে সকালে সেটা খুব অর্থহীন ছেলেমানুষী মনে হয়.... অথচ গতকাল সারাদিন কেটেছে স্বপ্নপূরণ হবার রোমাঞ্চকর আশা নিয়ে... আর সারারাত কেটেছে সেই স্বপ্নভঙ্গের কষ্টে।
চারপাশে মানুষ বদলে যাচ্ছে.... স্কুলের লাস্ট বেঞ্চে বসে সারাদিন দুষ্টুমি করে থাকা ছেলেদের বা মেয়েদের গ্রুপটা আর নেই। একজন আরেকজকে দেখেছি প্রায় বছর পাঁচেক। সবচেয়ে গম্ভীর ছেলেটা ভার্সিটির রাজনীতির পরিচিত মুখ... অথবা সবচেয়ে চটপটে মেয়েটা বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে চলে গেছে লন্ডন।
তবুও কিছু ছোট্ট জিনিস থেকে যায়.... যেমন কারো পছন্দের কোন গান... অথবা পরিচিত কোন পারফিউম। হুট করে শুনলে... অথবা গন্ধটা পেলে মনে পড়ে যায় পরিচিত মানুষটাকে। মাঝখানে যে'ই আসুক... নতুন মানুষ অথবা আটলান্টিক মহাসাগর। পুরোনো মানুষগুলোকে মনে পড়ে মাঝে মাঝে একটি দুটি বিকেল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়... পুরোনো রাগ-অভিমান, কোচিং ক্লাসের বাইরে ঝগড়াটা মনে পড়ে... মনে পড়ে সাদা শার্টে কলমের আঁকাআঁকি। মানুষগুলো হারিয়ে গেলেও আছে সেই সাদা অথবা গাড় নীল ইউনিফর্মগুলো... পুরোনো কাপড়ের ভাঁজে। কোন না কোন ড্রয়ারে।
(collected)

Tuesday, March 27, 2018

বৈশাখী সাজে ওরা


একসময় বৈশাখ মানেই ছিল মেলা। বৈশাখী মেলা। খোলা মাঠে থরে থরে সাজানো মাটির পুতুল, কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, হাওয়াই মিঠাই, বায়োস্কোপ আর নাগরদোলা। মা-বাবার হাত ধরে ছোট্ট শিশুর মেলাজুড়ে টইটই। ফেরার পথে এক হাতে মিছরির তৈরি একটা হাতি নয়তো ঘোড়া। গ্রামের দিকে টিকে থাকলেও শহুরে জীবনে এমন মেলা এখন বলতে গেলে উধাও। এই বৈশাখী মেলা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে শিশুদের, আর বায়নাও তাদের সবচেয়ে বেশি।

বিশেষ এই দিনটিতে বাড়ির ছোট সদস্যটিরও চাই রঙিন পোশাক। বৈশাখে শিশুকে কী পরাবেন, তা নির্ভর করবে অনেক কিছুর ওপর। কিন্তু কয়েকজন মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সন্তানের আরামকেই দিচ্ছেন প্রথম প্রাধান্য। আজকাল স্কুলগুলোতেই বৈশাখের অনুষ্ঠানে লাল–সাদা পোশাক পরতে বলা হয়। স্কুলের বেঁধে দেওয়া ড্রেস কোড অনুযায়ী সন্তানের বৈশাখের পোশাক কিনে ফেলতে পারেন। পয়লা বৈশাখ আর স্কুলের অনুষ্ঠানে আলাদা পোশাক পরাতে চান, তাহলে পয়লা বৈশাখের দিন বেগুনি, সবুজ, ম্যাজেন্টা, কমলা ও হলুদের মতো উজ্জ্বল রঙের সমন্বয়ে কোনো ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরাতে পারেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পোশাক হতে পারে শাড়ি বা সালোয়ার–কামিজ। ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, পায়জামা, ধুতি, টি-শার্ট বা ফতুয়া। চাইলে লুঙ্গিও পরাতে পারেন। এখন ফ্যাশনে সবাই চায় চলতি ধারা অনুসরণ করতে। তবে বড়দের ফ্যাশনে যত দ্রুত পরিবর্তন আসে ছোটদের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা নয়। বড়দের পোশাকের কিছু কিছু ধারাই বরং ঢুকে পড়ে শিশুদের পোশাকে। তবে শিশুদের পোশাকের ‘ট্রেন্ড সেটার’ মূলত মায়েরা। মা যেমন পোশাক পরাতে চান, শিশু তেমন পোশাকই পরবে। একজন মা-ই বোঝেন তাঁর শিশুকে কেমন পোশাক পরলে মানাবে, কোনটাতে তারা আরাম পাবে।

Monday, March 26, 2018

দলে চলে রাঙাচ্যাগা


প্রজনন মৌসুমে পুরুষটির পেটে ঘন-কালো রঙের একটা তুলির টান যেন মেরে দেয় প্রকৃতি। সেটা অক্টোবরের দিকে বাংলাদেশে আসার পরও থাকে কিছুকাল। এমনিতে এদের পিঠ-ডানার উপরিভাগ ও মাথার তালু ঘন লালচে-জলপাইরঙা, তার ওপরে ছোট-বড় কালচে ছিট ছোপ থাকে। বুক-পেট-পেটের দুপাশসহ গলা সাদা, চোখের ওপর দিয়ে উপুড়-তৃতীয়ার চাঁদের মতো সাদা ভ্রুরেখা খুবই সুন্দর। চোখের পাশটা জলপাই-লালচে। চোখের মণি কালো। পা ও পায়ের আঙুল কালচে-বাদামি। নখর কালো। লেজের অগ্রভাগের ওপরের অংশও কালো। এদের লকলকে-আঠালো ও কিছুটা ধারালো জিবটার রং পান্না-নীলচে। গ্রীষ্মকালে সব রংই ম্লান হয়ে যায়। পুরুষটির বুক-পেটের কালো রংও উধাও হয়ে যায়।
দলে চলা ও দলে থেকে খাবার অন্বেষণে এরা পরিকল্পনামতো এগোয়। অন্যান্য চর-মোহনাচর পাখিদের সঙ্গেও ঝাঁক বাঁধে। মূল চারণক্ষেত্র দ্বীপচর, সাগরসৈকত, কম জলের জলাভূমি, নদী-চর-হাওর-বাঁওড়-বিল-ঝিল ইত্যাদি। সাগর-নদীতে ভাটার টান লাগতেই পিলপিল পায়ে অসম্ভব দ্রুততায় এগোয় ও খাবার খোঁজে, সৈকতে জল ধেয়ে আসে, আবারও নেমে যায়, ধেয়ে আসে আবারও। মূল খাদ্য এদের নানান জাতের জলপোকা-লার্ভা-সাদা সুতোপোকা ও অন্যান্য পোকামাকড়। বালুও খায়, খায় লোনা মাটি। ভয় পেয়ে ঝাঁক বেঁধে ওড়ে যখন, তখন আকাশে পুঁটি মাছের ঝাঁকের মতো কাত হয় টলটলে জলের তলায় রুপালি ঝিলিক মারার মতো এই পাখিদের বুক-পেটে শীতের রোদের ঝিলিক দেখা যায়, সে দৃশ্য নান্দনিক-সৌন্দর্যে ভরপুর।
শীতের পরিযায়ী এই পাখিদের নাম ‘বাঁকাঠোঁট চা পাখি’। ফকিরহাট-বাগেরহাটে পরিচিত ‘রাঙাচ্যাগা’, ‘ঝিলিক চ্যাগা’ ও ‘পুঁটে চ্যাগা’ নামে। ইংরেজি নাম Dunlin। বৈজ্ঞানিক নাম calidris alpin। দৈর্ঘ্য ১৮-২৩ সেন্টিমিটার। ওজন গড়পড়তা ৪৫ গ্রাম।
যেসব দেশে বাসা করে এরা, সেখানে মাটিতে-ঘাসবনে-লতা-শিকড় দিয়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে চারটি। ডিম ফোটে ২০-২২ দিনে।

Learning


Homework


Sunday, March 25, 2018

ঝিনুক থেকে কয়েকটি শিক্ষা


ঝিনুক থেকে কয়েকটি শিক্ষা -
--------------------------------------------
(১) মুরগী ডিম দেয়। একটি ডিমের দাম মাত্র দশ টাকা। কিন্ত ডিম দিয়েই ‘খকখক’ আওয়াজ করে সারা বাড়ির লোকদের জানিয়ে দেয় সে ‘ডিম’ প্রসব করেছে।অথচ ঝিনুক। লক্ষ টাকার মুক্তো প্রসব করে।
নিরবে,নিভৃতে থাকে ।তুমি ঝিনুকের মত
দামি হতে চাও? ক্ষুদ্র আমল করে জাতিকে জানিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য মানসিকতা পরিহার কর।
(২) বৃষ্টির পানি দিয়ে ঝিনুকের পেটে তৈরি হয় মুক্তো। আর এই পানি গ্রহনের জন্য সে সময় বাছাই করে অমাবস্যার রজনী।
যখন চারিদিকে বিরাজ করে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তুমি মালিকের নৈকট্য চাও?ওঠে যাও শেষ রাতে। যখন দুনিয়ার তামাম মাখলুকাত ঘুমের ঘরে আচ্ছন্ন। লুটে পড়ে যাও সিজদায়।
(৩) ঝিনুক মাত্র এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অপেক্ষা করে। কখনো সে বিরক্ত হয়না। ধৈর্য হারাহয় না। তুমি জীবনে উন্নতি করতে চাও?’সবর’ কে গলার মালা হিসেবে গ্রহণ কর।
কখনো কোন কাজে বিরক্তির কোন ভাব যেন তোমার চেহারায় ফোটে না ওঠে।
(৪)ঝিনুক একফোঁটা বৃষ্টিজল নিয়েই
সে তৃপ্ত থাকে। তার হাজার ফোঁটার দরকার হয়না। তুমি জীবনে সুখী হতে চাও? ‘কানাআত’ তথা অল্পে তুষ্ট থাকো।কখনও হা-হুতাশ হয়ও না।

Tuesday, October 10, 2017

ছেলেটা কি ভুল সিদ্ধান্ত নিল?

মেয়ে:-আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-কেন?
মেয়ে:-কারন আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারব না।
ছেলে:-তাহলে এই দুইবছর কেন আমার সাথে কাটিয়েছো???
মেয়ে:-আমি দুই বছর ভুলে যেতে চাই।
ছেলে:-আমার দোষ কি যে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে........???
মেয়ে:-তোমার কোন দোষ নেই।
ছেলে:-তাহলে.?
মেয়ে:- তাহলে কিছুই না , তুমি আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে:-আমি কি দেখতে খারাপ..?এই জন্য ছেড়ে চলে যাবে??
মেয়ে:-তা না।
ছেলে:-তাহলে কেন ছেড়ে যাবে?
মেয়ে:-কারন বলতে পারব না।তুমি আমাকে প্লিস ভুলে যাও।
ছেলে:-আমিত তোমাকে ভুলে যাবার জন্য ভালবাসিনি।আমি তোমাকে জীবন সাথী করার জন্য ভালবেসেছি।
মেয়ে:-কিন্তু আমি তোমার জীবন সাথী হতে পারবো না।ভুলে যাও আমাকে।
ছেলেটা মেয়েটার হাতটা কাছে টেনে নিয়ে।
ছেলে:-কেন? আমার দোষটা বল।
মেয়েটা তার হাতটা হেচকা টান দিয়ে
মেয়ে:-কারন তোমার চাকরি নেই।
ছেলেটা পকেটে থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটার বের করে মেয়ের হাতে দিয়ে
ছেলে:-দেখ গতকাল আমার চাকরি হয়েছে।ত্রিশ হাজার টাকা বেতন।
মেয়ে:-তবুও আমি তোমাকে ভালবাসতে পারব না।
ছেলে:কিন্তু কেন?
মেয়ে:-কারন তুমি বিয়ের পর আমাকে নিয়ে তোমার মা বাবার সাথে থাকবে কিন্তু আমি এটা সহ্য করতে পারব না।কারন তোমার মা বাবা সারাদিন খুক খুক করে কাশে এটা আমার ভাল লাগে না।
ছেলে:-অফিস থেকে আমাকে
একটা ফ্লাট দেয়া হয়েছে সাথে একটা গাড়ি।
মেয়ে:-সত্যি।আমি তোমাকে ভালবাসি।
ছেলে:-কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি না।
মেয়ে:-একটু আগে না বললে ভালোবাসি।এখন আবার এ কথা বলছ কেন?
ছেলে:-একটু আগে আসল কারনটা
জানতাম না।
মেয়ে:-প্লিস এমন করনা।আমাদের দুইবছরের সম্পর্ক এভাবে নষ্ট কর না।
ছেলে:-আসলে তুমি আমাকে
ভালোবাসতে পারনি।তুমি ভালোবেসেছ টাকাকে।আর যে নারী বিয়ের পর তার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের পিতামাতার মতই আপন করে নেয় না তাকে আমার প্রয়োজন নেই।
ছেলেটা এটা বলে মেয়ের হাত থেকে চাকরির এপয়েন্টমেন্ট লেটারটা নিয়ে দুই বছরের সম্পর্ক নষ্ট করে
চলে গেল।😆😭
ছেলেটা কি ভুল সিদ্ধান্ত নিল?

Monday, October 9, 2017

কম বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ?

অনেকে ভাবেন অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে না। এটা বৃদ্ধদের রোগ। আসলে তা নয়। নানা কারণেই অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। ইদানীং অপেক্ষাকৃত কম বয়সে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিচ্ছে। এ জন্য নানা বদ অভ্যাসও দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। সেটা শিশু-কিশোরদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।
অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়া বিচিত্র নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত কোনো রোগ বা কারণ আছে কি না, তা খুঁজে দেখা উচিত। কম বয়সে হঠাৎ রক্তচাপ বাড়তি পাওয়া গেলে কিছু বিষয় মাথায় আনা দরকার। যেমন:
*  বংশগত কিডনি রোগ, কিডনির প্রদাহ, ত্রুটিপূর্ণ কিডনি, কিডনির রক্তনালির সমস্যা বা কিডনির টিউমার হলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে।
* শরীরের প্রধান রক্তনালিতে সংকোচন বা কোনো সমস্যা, যা সাধারণত জন্মগত হয়ে থাকে
* হরমোনজনিত সমস্যা (যেমন-থাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল বা পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা)
* মস্তিষ্কের টিউমার বা জন্মগত ত্রুটি
* মাদক সেবন
* লুপাস, রক্তনালির প্রদাহ (ভাসকুলাইটিস) ইত্যাদি
*  দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন
যেহেতু উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো উপসর্গ নেই আর অল্প বয়সে কেউ নিয়মিত রক্তচাপ মাপে না, তাই অনেক সময়ই এই সমস্যা ধরা পড়ে না। পরে হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক বা কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। ছোটদের কিডনিপ্রদাহ উচ্চ রক্তচাপের প্রধানতম কারণ। শিশুদের লালচে প্রস্রাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শরীরে পানি আসা এই সমস্যার লক্ষণ। আবার থাইরয়েডের সমস্যা কিশোরী, তরুণীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া, মাসিকে সমস্যা, গর্ভপাত ইত্যাদি হলে অল্প বয়সে থাইরয়েডের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৭ হাজার পদে আবেদন ১০ লাখের বেশি

রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ হবে ৭ হাজার ৩৭২ কর্মকর্তা। আর এ জন্য আবেদন করেছেন ১০ লাখের বেশি প্রার্থী। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নিয়োগসংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) বলছে, ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে এর আগে একসঙ্গে এত প্রার্থী আবেদন করেননি।
সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদনের জন্য টাকা না লাগা, বেশি বেতন, চাকরির নিশ্চয়তার কারণে এত বিপুল আবেদন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত দুই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকে পৃথক তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার পদে ১ হাজার ৬৬৩ কর্মকর্তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর এই পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ প্রার্থী। চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে আরও ২ হাজার ২৪৬ জন কর্মকর্তার বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৫২ প্রার্থী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকে কর্মকর্তা পদে ৩ হাজার ৪৬৩ জন নিয়োগের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৮১ হাজার প্রার্থী। মোট ৭ হাজার ৩৭২ কর্মকর্তা নিয়োগের বিপরীতে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
এত বিপুল আবেদনের কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) প্রধান মোশাররফ হোসেন খান বলেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কারণে আবেদন বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে আবেদন বাড়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এ জন্য কোনো টাকা লাগছে না।
চাকরি হিসেবে আকর্ষণীয় হওয়ায় ব্যাংকে আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, বেশি বেতন, চাকরির নিশ্চয়তা, নানা ধরনের ঋণ–সুবিধা থাকার কারণে ব্যাংকের চাকরি তরুণদের প্রথম পছন্দ। তবে আবেদন বাড়ার আরেকটি কারণ বেকারত্ব।
ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের পরীক্ষা নেওয়া হবে ঢাকায়। একসঙ্গে এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খালি পাওয়া অনেক কঠিন। তারপরও আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিনটি নিয়োগ পরীক্ষার মধ্যে একটির পরীক্ষা নিতে চাই।’ এ ছাড়া অন্য পরীক্ষাও কম সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ

ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যায় থেকে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্যানেল।
ভারতের ১০টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে চলতি বছরের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পাঁচটি বিশেষ অডিট টিম বা প্যানেল গঠন করে। এর মধ্যে একটি প্যানেল বেনারস ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তদন্ত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেল তাদের লিখিত প্রতিবেদনে বলেছে, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে এ ধরনের দুটি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাঞ্ছনীয় নয়।
কমিটি ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কমিটি বলেছে, শুধু ‘বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়’—এই নাম রাখা যেতে পারে।
পাশাপাশি কমিটি এ কথাও বলেছে, প্রয়োজনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম দেওয়া যেতে পারে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খান। আর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ সালে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দুটির নাম বদলের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা নাম বদলের কোনো চিন্তা করছি না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি।’

Saturday, October 7, 2017

ভয়াবহ যানজটের ১০ শহর

প্রতিদিন সকাল আর সন্ধ্যায় কী খান? ডাক্তার জানতে চাইলেন রোগীর কাছে। রোগীর উত্তর, ‘আর কিছু থাক না থাক, জ্যাম তো থাকেই!’ এটা কৌতুক নয়, ঢাকাবাসীর নিদারুণ বাস্তবতা। পাঁউরুটিতে জ্যাম-জেলি নাও থাকতে পারে, জ্যাম বা যানজট সবার জন্যই বরাদ্দ। যদি তিনি অফিসযাত্রীদের একজন হন।
ঢাকা শহরে যানজট আসলেই কতটা ভয়াবহ, তা অন্য শহর দিয়ে ঠিকমতো তুলনা করা গেল না। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের ভয়াবহ যানজটের শহরের তালিকা দিয়েছে। এ নিয়ে গবেষণা করেছে ইনরিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ট্রাফিক স্কোরকার্ড প্রকাশের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে ৩৮টি দেশের ১ হাজার ৬৪টি শহরের ওপর গবেষণা চালিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহর ছিল না। ফলে অন্যদের তুলনায় ঢাকা শহর কোথায় অবস্থান করছে, তা জানা যাচ্ছে না।
তবে গত জুলাইয়ে বিশ্বব্যাংক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই শহরে এখন ঘণ্টায় গড়ে প্রায় সাত কিলোমিটার গতিতে চলছে যানবাহন। বিশ্বব্যাংক বলছে, এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর হেঁটেই গাড়ির আগে যেতে পারবে মানুষ। যানজটের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। যানবাহনের পরিমাণ যদি একই হারে বাড়তে থাকে এবং তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সালে এই শহরে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম। মানুষের হাঁটার গড় গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বলে মনে করা হয়।
এখান থেকে ইনরিক্সের ইনডেস্কের তুলনা করা যায়। তাদের হিসাব বলছে, গত বছর যানজটে বড় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির শহর ছিল ডাবলিন। এখানে ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির গড় গতি থাকে ৭.৫ কিলোমিটার, সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে যেটি সর্বনিম্ন ৫.৫ কিমিতে নেমে আসে। ডাবলিনের চেয়ে ঢাকার অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক তো নয়ই! অবশ্য সবচেয়ে ধীর গতির শহর হচ্ছে মেক্সিকোর ওয়াহাকা। ৫.৯ কিলোমিটার গড় গতি থাকে যানবাহনের। হেঁটে যাওয়াই ভালো!

সূত্র: ইনরিক্স, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম
ভয়াবহ যানজটের ১০ শহর (বছরে কত ঘণ্টা ব্যয় হয় জ্যামে):
শহর
কত ঘণ্টা
লস অ্যাঞ্জেলেস
১০৪.১
মস্কো
৯১.৪
নিউ ইয়র্ক
৮৯.৪
সান ফ্রান্সিসকো
৮২.৬
বোগোতা
৭৯.৮
সাও পাওলো
৭৭.২
লন্ডস
৭৩.৪
ম্যাগনিতোগোর্স্ক
৭১.১
আটলান্টা
৭০.৮
প্যারিস
৬৫.৩

নোবেলজয়ীরা কত টাকা পায়, জানেন?


জীবদ্দশায় ৩৫৫টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছিলেন আলফ্রেড নোবেল। সুইডিশ এ বিজ্ঞানীর বড় ভাই লুডভিগ ১৮৮৮ সালে ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়ে মারা যান। কিন্তু ফরাসি এক দৈনিক ভুল করে আলফ্রেড নোবেল মারা গেছেন ভেবে নিয়ে শিরোনাম করে, ‘মৃত্যুর সওদাগর মারা গেছেন’। যেহেতু নোবেলের অধিকাংশ আবিষ্কারই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, তাই এমন শিরোনাম। নোবেল তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, মৃত্যুর পর ইতিহাস তাঁকে কীভাবে মনে রাখবে।
আর তাই জীবদ্দশায় করে যাওয়া অনেকগুলো উইলের মধ্যে শেষ উইলে নোবেল উল্লেখ করেন যে তাঁর সব সম্পদ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে, যাঁরা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন। এ জন্য নোবেল তাঁর মোট সম্পদের ৯৪ শতাংশ উইল করে যান, যা এখন নোবেল পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০১ সালে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠান ও ৮৮১ জন্য ব্যক্তি জিতেছেন ভীষণ 


সম্মানজনক এ পুরস্কার।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের বলা হয় ‘নোবেল লরিয়েট’। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, সেটা ছিল ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের। এরপর থেকে ১৮ ক্যারেট ‘সবুজ স্বর্ণে’র ধাতবের ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া পদক দেওয়া হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের। এ ছাড়া একটি সনদ এবং মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় নানাভাবে অবদান রাখা মহানায়কদের। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, নোবেলজয়ীরা ঠিক কত টাকা পুরস্কার পান?
গত বছর নোবেল বিজয়ীদের নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় আট কোটি টাকা। নোবেল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বছর নগদ অর্থের পরিমাণ হবে ১১ লাখ ডলার, মানে ৯ কোটি টাকার কিছু বেশি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুইডেনের স্টকহোমে নগদ অর্থপুরস্কার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নোবেল ফাউন্ডেশন।
টাকার চেয়ে সম্মান অবশ্যই বড়। কিন্তু নোবেল এমনই এক পুরস্কার, যেখানে টাকার অঙ্কটাও হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। যদিও অনেক নোবেল বিজয়ী তাঁদের পুরস্কার জয়ের টাকা দাতব্যকাজে দান করে দেন। সূত্র: সিএনএন।

Saturday, September 30, 2017

শিশুর কান্নায় পুলিশ কর্মকর্তার মাতৃত্ব


বিচারাধীন মামলায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এক হাজতি মায়ের শিশুসন্তানকে বুকের দুধ খাইয়ে সাড়া ফেলেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। চার মাস বয়সী ওই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার চীনের শানজি প্রদেশের এক আদালতে এই ঘটনা ঘটে। বুকের দুধ খাওয়ানো ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম হাও লিনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার মাস বয়সী ওই শিশুসন্তানের মা বিচারাধীন একটি মামলার হাজতি। শনিবার তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। সে সময় টানা কেঁদে যাচ্ছিল হাজতি ওই নারীর ছোট্ট শিশুটি। নিজেও মা—তাই মাতৃত্ববোধ জেগে ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা হাও লিনার। ক্ষুধার্ত ভেবে শিশুটিকে নিজের বুকের দুধ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ জন্য শিশুটির মায়ের কাছে অনুমতিও নেন। শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন হাওয়ের এক সহকর্মী। পরে এই ছবি আদালতে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। সেখান থেকেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠে।

Thursday, September 28, 2017

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ



পচেফ্‌স্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ।

Sunday, September 24, 2017

ফাঁসির দড়ি থেকে রাজনীতির মাঠে


ফাঁসির মঞ্চে ওঠার আগের দিন ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ করছিলেন তিনি। তখন ফাঁসি স্থগিত করে পরদিনই রাষ্ট্রপতির কাছে তড়িঘড়ি প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয়। তিন মাস পর মানসিকভাবে অসুস্থ বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি তাঁর সাজা কমিয়ে দেন। কিন্তু কারাগার থেকে বেরোনোর পর ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসলাম ফকিরের আচরণে অসুস্থতার ছিটেফোঁটাও নেই। এখন তিনি ব্যস্ত রাজনৈতিক গণসংযোগে।
‘আরে আপা, অসুস্থ ছিলাম না কারাগরে। ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। পরদিন দেখি, ফাঁসি বাতিল হয়ে গেছে।’

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ ও তাঁর স্ত্রী সাংসদ নিলুফার জাফরউল্যাহর সঙ্গে এলাকার নানা কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে আসলাম ফকিরকে। তাঁর সাজা মওকুফের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে এ দুজন ভূমিকা রেখেছিলেন বলে কথিত আছে। অন্যদিকে আসলামের নিজেরও ইচ্ছা এখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করার এবং আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার।

‘আপনি কারাগারে থাকাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, এ জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়নি। কী সমস্যা হয়েছিল?’ গত বুধবার টেলিফোনে এ প্রশ্ন করা হলে আসলাম ফকির এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আরে আপা, অসুস্থ ছিলাম না কারাগরে। ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। পরদিন দেখি, ফাঁসি বাতিল হয়ে গেছে।’

আপনাকে সাজা মওকুফ পেতে কারা সহায়তা করল? জানতে চাইলে আসলাম ফকির বলেন, ‘কে আর করবে? লিডার কাজী জাফরউল্যাহ ও তাঁর স্ত্রী সাংসদ নিলুফার জাফরউল্যাহ। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কী পারেন।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আসলাম ফকির ২০০৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর একই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সাহেদ আলী ওরফে সাহেব আলী মিয়াকে হত্যা করেন। দুজনই ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে আসছিলেন পর্যায়ক্রমে। জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসলাম ফকিরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে হাইকোর্ট এ রায় বহাল রাখেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ মে খুনের দোষ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন আসলাম ফকির। কিন্তু ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর তা নামঞ্জুর হয়। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিন ধার্য হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু ১২ নভেম্বর বন্দী আসলাম ফকির এমন আচরণ শুরু করেন, কারাগারের নথির ভাষায় যেটা ছিল ‘অস্বাভাবিক’ বা ‘অসুস্থতা’। এর ফলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করা হয় এবং ওই দিনই দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হয়।

Monday, April 10, 2017

ছেলের দায়িত্ব নেব, অপুরটা ভেবে দেখব: শাকিব

দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সন্তান নিয়ে সবার সামনে এসেছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই নায়িকা।

ইসলাম ধর্মমতে গুলশানে শাকিব খানের বাসায় বিয়ে হয় তাদের। কাবিননামায় অপুর নাম লেখা হয় অপু ইসলাম খান।

‘ফ্রি অফার’ নিয়ে হাজির ফেসবুক

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে ‘ফ্রি’ বা বিনা মূল্যে অফারের ঘোষণা প্রায়ই শোনা যায়। ফেসবুকও এবারে সে পথে হাঁটল। দলগত কাজের জন্য সফটওয়্যার সেবা স্ল্যাকের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে ফেসবুক। তাই কর্মক্ষেত্রে আন্ত যোগাযোগের জন্য তৈরি ‘ওয়ার্কপ্লেস’ সেবাটির একটি সংস্করণ বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য ছাড়ছে ফেসবুক।

Sponsor